বিরতিটা একটু বেশি নিয়ে নেওয়ায় নিজেরই কেমন যেন মনে হচ্ছে ।
৫ মাস পরে আবার লিখতে বসলাম, যা নিয়ে লিখব তার তথ্য সংগ্রহ করেছি গত বছর পুজোর আগে । কিন্তু অলস বাঙালি ও পীড়া জর্জরিত বাঙালি তো , তাই এত সময় লাগলো ।
পুরনো বাড়ীর ওপর কয়েকটি লেখা আগে লিখেছিলাম । সেই লেখাগুলিতে আরেকটি সংযোজন , আজ শোভাবাজারের হাটখোলার কাঁসারি বাড়ী ।
শোভা বাজার স্ট্রীট ধরে গঙ্গা অব্ধি যেতে চাইলে গাড়ি বারান্দা দেওয়া এই বিশাল বাড়িটি চোখে পড়বেই । এর ঠিক পাশের বারিটিই বিখ্যাত বি কে পালের ।
কংস সম্প্রদায়ের দাস পরিবারের এই বাড়ীর বয়স ১৭০ । সদর দরজা পেরিয়েই উঠোন । দেওয়ালে সার দিয়ে বাইসন ও হরিণের শিং ।
ডান পাশে সিঁড়ি উঠে গেছে ছাদ পর্যন্ত । দোতলায়ে ঠাকুর ঘরে গৃহ দেবতা শাল্গ্রাম শিলা । নিত্য পুজো ছাড়াও লক্ষ্মী পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো হয় , অনেকদিন আগে বড় করে দূর্গা পুজো ও হত ।
পুরনো আসবাবে সাজানো এ বাড়ি , সে আলমারি আয়না থেকে নিয়ে ঠাকুরের প্রদীপ প্রজ্জ্বল রাখার জন্য “মেড ইন লন্ডন “ কাঁচের বাক্স / লন্ঠন ।
সেই সময়ের ধাঁচে এই বাড়িও মাঝে উঠোন রেখে চারদিকে বারান্দা ও সারি দেওয়া ঘর ।
আজও এ বাড়ীতে ঢুকলে এক লহমায় সময় যেন পিছিয়ে যায়, সম্বিত ফেরে স্মার্ট ফোনের রিংটোনে ।
এখন এ বাড়ীতে এ তরফের পাঁচ ভাই বঙ্কুনাথ দাস, হৃষীকেশ দাস, হরনাথ দাস, যামিনীনাথ দাস ও রবীন্দ্রনাথ দাস (সকলেই স্বর্গত) এর উত্তরপুরুষরা বসবাস করছেন ।
এখন পুরনো স্মৃতি সহ সত্তরোর্ধ থেকে সবে কথা বলতে সেখা যমজ, এই বাড়ীই তাদের প্রাণ ।
কৃতজ্ঞতা :
মঞ্জু দাস, সুনন্দা রায়, দ্বিজেন্দ্র দাস, দেবব্রত দাস ।
— র দ ।